![]() |
বার্বাডোজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সন্ধ্যার সেশনে চারটি উইকেট নেওয়ার পর উদযাপন করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়রা ছবি সংগৃহীত |
বার্বাডোজে নাটকীয় দিনের শেষে সামান্য এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
বার্বাডোজে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি ছিল টানটান উত্তেজনা, বিতর্ক আর নাটকীয় মোড়ে ভরা। দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯২ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও অস্ট্রেলিয়া ৮২ রানের লিড নিয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও ম্যাচ এখনো পুরোপুরি খোলাসা নয়।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৮০ রানে অলআউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৭/৪ থেকে দিন শুরু করেছিল। সেই সময় মনে হচ্ছিল, স্বাগতিকরা ভালো লিড পেতে পারে। কিন্তু দিনের মাঝপথে দুটি বিতর্কিত আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত ম্যাচের রং বদলে দেয়।
প্রথম বিতর্ক আসে অধিনায়ক রোস্টন চেইসের আউট নিয়ে। ৪৪ রানে ধৈর্যশীল ইনিংস খেলার পর তিনি কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউ হলে রিপ্লেতে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল, বলটি ব্যাটে লেগেছিল কিনা। কিন্তু আলট্রাএজ নির্ধারক কিছু দেখাতে না পারায় তাকে আউট ঘোষণা করা হয়।
দ্বিতীয় বড় বিতর্ক আসে শাই হোপের ক্যাচ নিয়ে। ৪৮ রানে থাকা অবস্থায় বিউ ওয়েবস্টারের বলে উইকেটকিপার কেরির হাতে ধরা পড়েন তিনি। রিপ্লেতে মনে হয় বল মাটিতে লেগেছিল, কিন্তু থার্ড আম্পায়ার অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন।
অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক বলেন, “সিদ্ধান্তগুলো প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। আমাদের বিরুদ্ধে একটা গেছে, ওদের বিপক্ষে কয়েকটা গেছে। সেটাই খেলার অংশ।”
চেইস ও হোপের ৬৭ রানের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩৫/৫ স্কোরে নিয়ে যায় লাঞ্চের আগে। কিন্তু এরপর আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি তারা। কামিন্স ও ওয়েবস্টারের বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস, যা অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানের লিড এনে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও দেখা যায় টপ অর্ডারের ভঙ্গুরতা। উসমান খাজা, স্যাম কনস্টাস, জোশ ইংলিস ও ক্যামেরন গ্রিন দ্রুত ফিরে গেলে চাপ বাড়ে। তবে দিন শেষে ট্রাভিস হেড ও বিউ ওয়েবস্টার কিছুটা স্থিতিশীলতা নিয়ে ক্রিজে ছিলেন।
এই ম্যাচে কেঞ্জিংটন ওভালের উইকেট একাধিক চরিত্র নিচ্ছে—কখনও অতিরিক্ত গতি, কখনও সুইং, কখনও বাউন্স। স্টার্ক বলেন, “যদি সঠিক জায়গায় বল করা যায়, সুযোগ তৈরি হয়। উইকেটের আচরণ নির্ভর করছে বল কোথায় পড়ছে তার ওপর।”
একদিকে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে, অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা জানিয়ে দিয়েছেন, শেষ কথা এখনও বলা হয়নি।