ভারতীয় দল লিডসে টেস্ট খেলেছে একেবারে বুমরাহ-নির্ভর আক্রমণ নিয়ে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী, জাসপ্রিত বুমরাহকে পুরো সিরিজে মাত্র তিনটি টেস্টে খেলানো হবে, এবং তার বিশ্রামের সময় তরুণ পেসারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। হেডিংলির শেষ বিকেলে এমনকি দ্বিতীয় নতুন বলেও বুমরাহকে ব্যবহার করা হয়নি — এটিই প্রমাণ করে যে তার কাজের চাপ কমানোর বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে।
ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর অবশ্য তরুণদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন। তার মতে, যদিও এই বোলিং ইউনিট অনভিজ্ঞ, তবুও তাদের ওপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্য ধরতে হবে। তিনি বলেন, "এই বোলিং আক্রমণে একমাত্র বোলারের পাঁচটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাকিদের চারটি, দুটি বা একেবারেই অভিষেক হয়নি। এমন এক সময়ে আমরা দল গড়ছি, যেখানে ধৈর্যের বিকল্প নেই।"
প্রসিধ কৃষ্ণের পারফরম্যান্স কিছুটা সমালোচিত হলেও, গম্ভীর তাকে নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "প্রসিধ আমাদের উইকেট এনে দিয়েছে, তার বাউন্সার ছিল কার্যকর। সে সময়ের সাথে আরও উন্নতি করবে।" একইসঙ্গে শার্দুল ঠাকুরের পারফরম্যান্সকেও মূল্যায়ন করেছেন গম্ভীর, "শার্দুলকে হয়তো কম ব্যবহার করা হয়েছে, কারণ জাদেজা দারুণ বল করছিল। তবে সে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এনে দিয়েছে।"
বোলিং ইউনিটের অনভিজ্ঞতা ছাড়াও, ভারতীয় দলের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতাও ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। ৮ থেকে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত স্কোর ছিল মাত্র ৯ রান। তবে গম্ভীর এ নিয়ে কঠোর না হয়ে বলেন, "তারা চেষ্টা করেছে। সব সময় ফল আসবে না। লেজের ব্যর্থতা ছিল, কিন্তু শুধু সেটিই ম্যাচ হারার একমাত্র কারণ নয়।"
নতুন অধিনায়ক শুভমান গিলের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন গম্ভীর। প্রথমবার অধিনায়কত্ব করতে এসে গিল স্নায়ুচাপে ভুগলেও তার ব্যাটিং প্রশংসনীয় ছিল। গম্ভীর বলেন, "অধিনায়ক হিসেবে গিলের সব সম্ভাবনা আছে সফল হওয়ার। সময় দিতে হবে, কারণ এটি তার যাত্রার একেবারে শুরু।"
সব মিলিয়ে গম্ভীর বারবার বলেছেন, এই দলটির পেছনে সমর্থন ও বিশ্বাস রাখতে হবে। অভিজ্ঞতা সময়ের সঙ্গে আসবে, আর এই তরুণ বোলাররাই ভবিষ্যতে ভারতের ফাস্ট বোলিং আক্রমণের স্তম্ভ হয়ে উঠবে।