রাহুল ও গিলের দৃঢ়তা, স্টোকসের শতকে জমে উঠেছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্ট ম্যানচেস্টার চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিন
![]() |
রাহুল ও গিল দিনের শেষে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ছেন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। (ছবির উৎস: AFP) |
ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ নির্ধারণী চতুর্থ টেস্ট জমে উঠেছে চরম উত্তেজনায়। ভারতের সামনে যখন ছিল বিশাল রানের ঘাটতি এবং দুইটি দ্রুত উইকেট হারানোর ধাক্কা, তখন দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুললেন কে এল রাহুল এবং শুভমান গিল।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ভারতের সংগ্রহ ১৭৪/২। তারা এখনো পিছিয়ে ১৩৭ রানে। তবে খেলা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে ড্র এর একটা স্পষ্ট আশা জাগিয়েছে ভারতীয় শিবিরে।
🎯 স্টোকসের অলরাউন্ড ঝলক
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস এই ম্যাচে প্রমাণ করেছেন, কেন তাকে সমসাময়িক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বলা হয়। প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৫ উইকেট (৫-৭২) নেওয়ার পর, ব্যাট হাতেও করলেন ১৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
এটি ছিল তার ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর মাধ্যমে তিনি হয়ে গেলেন মাত্র চতুর্থ ইংলিশ খেলোয়াড়, যিনি এক টেস্টে সেঞ্চুরি এবং পাঁচ উইকেট দুই-ই পেলেন।
🧱 ভারতীয় প্রতিরোধের দেয়াল: রাহুল ও গিল
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত শুরু করে একেবারে খারাপভাবে। ক্রিস ওকসের দুই বলে জয়সওয়াল ও সুদর্শন ফিরে গেলে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ০/২। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের গ্যালারিতে তখন ইংল্যান্ড ভক্তদের উল্লাস।
কিন্তু সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ান গিল ও রাহুল। প্রায় ৬৩ ওভার উইকেটে থেকে তারা গড়েন ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
- রাহুল ৮৭* (৩১৪ বল)
- গিল ৭৮* (২৩৫ বল)
তাদের ইনিংসে ছিল ধৈর্য, শৃঙ্খলা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিংয়ের নিখুঁত উদাহরণ।
⚠️ স্টোকসের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন
যদিও স্টোকস এই টেস্টে দুর্দান্ত খেলেছেন, তবে দিনের পর বল না করাটা ইংল্যান্ড শিবিরে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তার পেশীতে টান পড়েছিল শুক্রবার, এরপর থেকে তিনি আর বোলিং করেননি। ইংল্যান্ড এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও, পঞ্চম টেস্ট সামনে রেখে হয়তো তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ
🧠 মাইকেল ভন ও দীপ দাসগুপ্ত যা বললেন
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেন:
“আমি ভারতের কোনো সুযোগ দেখিনি। কিন্তু তারা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক দীপ দাসগুপ্ত বলেন:
“এটা নতুন ভারতের প্রতিচ্ছবি — যারা লড়াই করে, মাথা নিচু না করে এগিয়ে যায়।”
🔍 সামনে কী?
শেষ দিনে ভারতের লক্ষ্য থাকবে যতটা সম্ভব সময় ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডকে জয় থেকে বঞ্চিত করা। আর ইংল্যান্ড চাইবে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে।
📌 আপনার মতামত জানান:
এই রোমাঞ্চকর টেস্ট সম্পর্কে আপনার কী মত? ভারতের এই প্রতিরোধ কি শেষ দিনে টিকে থাকবে? মন্তব্য করুন নিচে!