ক্যাপ্টেনদের পুরোনো স্মৃতি
প্রায় ১০ বছর আগে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ এবং শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা এবার তাদের জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। কাকতালীয়ভাবে, সেই অনুর্ধ্ব-১৯ ম্যাচটিও একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সিরিজ এবং ম্যাচের পরিসংখ্যান
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রেকর্ড: বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জেতেনি। শ্রীলঙ্কায় উভয় দল ছয়টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে স্বাগতিকরা চারটি জিতেছে এবং দুটি সিরিজ ১-১ ড্র হয়েছে।
মুখোমুখি লড়াই: দুই দলের মধ্যে ৫৭টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৪৩টিতে এবং বাংলাদেশ ১২টিতে জয়লাভ করেছে। দুটি ম্যাচের কোনো ফলাফল হয়নি। তবে, ২০১৯ সাল থেকে হিসাব করলে, দুই দলের রেকর্ড সমান, ৫-৫।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স: শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র দুটি জিতেছে, ২০টিতে হেরেছে এবং দুটি ম্যাচের কোনো ফলাফল হয়নি। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের ভেন্যু প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ১০টি ম্যাচেই হেরেছে। তবে, এই মাঠেই টাইগারদের ১০০তম টেস্ট জয়ের সুখস্মৃতি রয়েছে।
'পঞ্চপাণ্ডব' বিহীন বাংলাদেশ
২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ তাদের 'পঞ্চপাণ্ডব'—মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ—এর কাউকে ছাড়া সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল। সেটি ছিল ৩৩১ ম্যাচ আগে।
খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত মাইলফলক
নাজমুল হোসেন শান্ত: বর্তমান স্কোয়াডের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সেরা রান সংগ্রাহক। তিনি পাঁচটি ওয়ানডেতে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটিসহ ৮৫.৫০ গড়ে ৩৪২ রান করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান: দুই দলের বর্তমান স্কোয়াডের মধ্যে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডেতে মোস্তাফিজুর রহমান সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। তার ২৩টি উইকেট রয়েছে, যা যেকোনো দলের বিপক্ষে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ২৩টি)।
তৌহিদ হৃদয়: ওয়ানডে ফরম্যাটে ১০০০ রান পূর্ণ করতে তৌহিদ হৃদয়ের আর মাত্র ১৬ রান বাকি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩১ ইনিংসে খেলেছেন এবং তিনি ২৫তম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করবেন। শাহরিয়ার নাফীস এবং এনামুল হক বিজয় (উভয়েই ২৯ ইনিংসে) এর পর তিনিই দ্রুততম সময়ে এই মাইলফলকে পৌঁছানো দ্বিতীয় খেলোয়াড় হতে চলেছেন।