
দুর্ভাগ্যজনক ড্রয়ের শিকার রিয়াল মাদ্রিদ
ফুটবল মানেই নাটকীয়তা। কিন্তু ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-এ ভাগ্য কখনো কখনো ভয়ংকর রকম কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক সেই পরিস্থিতির মধ্যেই পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। মোনাকোর গ্রিমালডি ফোরামে অনুষ্ঠিত ২০২৫/২৬ মৌসুমের ড্রতে ইউরোপের রাজাদের সামনে অপেক্ষা করছে এক দুঃসাহসিক পথ।
১৪ বারের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের জন্য নতুন ফরম্যাটে এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। প্রতিপক্ষ হিসেবে এসেছে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, জুভেন্টাসের মতো দানব ক্লাব।
কোন কোন দলের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ?
কার্লো আনচেলত্তির দলকে লিগ পর্বে খেলতে হবে ইউরোপের শীর্ষ কিছু ক্লাবের বিপক্ষে:
- সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে: ম্যানচেস্টার সিটি, জুভেন্টাস, মার্সেই, মোনাকো
- অ্যাওয়েতে: লিভারপুল, বেনফিকা, অলিম্পিয়াকোস, কাইরাত আলম্যাটি
চারটি প্রাক্তন ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন, সঙ্গে মহাদেশজুড়ে দীর্ঘ ভ্রমণ—মাদ্রিদের স্কোয়াডের গভীরতা ও মানসিক শক্তি দুটোই এবার চূড়ান্ত পরীক্ষার মুখে পড়বে।
নতুন ফরম্যাট, নতুন চাপ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন লিগ ফরম্যাটে প্রতিটি দলের জন্য থাকবে আটটি ম্যাচ।
সময়সীমা: ২০২৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শীর্ষ আটটি দল সরাসরি জায়গা করে নেবে রাউন্ড অফ ১৬-এ। আর যারা ৯ থেকে ২৪-এর মধ্যে থাকবে, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে প্লে-অফ। অর্থাৎ, শুরু থেকেই প্রতিটি ম্যাচে সর্বোচ্চ পারফর্ম করতে না পারলে বিদায়ের শঙ্কা থাকবেই।
📝✨ Our opponents in the @ChampionsLeague league phase!@adidasfootball pic.twitter.com/ASFNLiojpt
— Real Madrid C.F. 🇬🇧🇺🇸 (@realmadriden) August 28, 2025
নকআউট পর্বের উত্তেজনা
লিগ পর্ব শেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আবার ফিরে যাবে ঐতিহ্যবাহী দুই লেগের নকআউট ফরম্যাটে। রাউন্ড অফ ১৬ থেকে শুরু করে সেমিফাইনাল পর্যন্ত চলবে সেই লড়াই।
আর সবশেষে, ২০২৬ সালের ৩০ মে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পুসকাস অ্যারেনায় বসবে মহারণের ফাইনাল। প্রথমবারের মতো হাঙ্গেরির মাটিতে ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় রাত আয়োজন হতে যাচ্ছে।
ইউরোপের রাজাদের সামনে সবচেয়ে কঠিন মিশন?
রিয়াল মাদ্রিদ মানেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তারা জানে কীভাবে এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা ফুটবলটা খেলতে হয়। কিন্তু এবার লিগ পর্বেই লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, জুভেন্টাস—এই তিন দৈত্য প্রতিপক্ষ। সঙ্গে কঠিন অ্যাওয়ে ম্যাচগুলো মিলিয়ে এটি হতে পারে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন অভিযানের একটি।
তাদের জন্য একটাই পথ খোলা—শুরু থেকেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। কারণ এই নতুন ফরম্যাটে ধীরগতির শুরুর কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ম্যাচই নির্ধারণ করবে তারা আবার ইউরোপের সিংহাসনে ফিরতে পারবে কি না।
শেষকথা: রিয়াল মাদ্রিদ কি আবারও প্রমাণ করতে পারবে, কেন তাদের বলা হয় ইউরোপের রাজা? নাকি দুর্ভাগ্যজনক ড্র-ই থামিয়ে দেবে তাদের যাত্রা? সময়ই দেবে এর উত্তর।