টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে অন্ধভাবে ম্যাচ বাড়ানো নয়, বরং মানের দিকে নজর দেওয়া জরুরি—এমনই সতর্কবার্তা দিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। তাঁর মতে, বর্তমান সূচি অনুসারে সব দেশকে টেস্ট খেলতে বাধ্য করা হলে কিছু ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক সংকটে পড়ে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
গ্রিনবার্গ স্পষ্টভাবে বলেন,
“টেস্ট ক্রিকেটে স্বল্পতাই আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়। আমি মনে করি না যে বিশ্ব ক্রিকেটের প্রত্যেককে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে, এবং এটা ঠিক আছে। আমরা যদি দেশগুলোকে জোর করে টেস্ট খেলাই, তাহলে আক্ষরিক অর্থেই তাদের দেউলিয়া করে দেব।”
তিনি চান, অ্যাশেজের মতো ঐতিহাসিক ও জনপ্রিয় সিরিজগুলোতে বেশি বিনিয়োগ হোক। আসছে ডিসেম্বরেই শুরু হবে ২০২৫-২৬ মৌসুমের অ্যাশেজ, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস তুঙ্গে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ড ও ভারতের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দেখা গেছে ফরম্যাটটির সেরা রূপ—হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, নাটকীয় মোড় আর দর্শকদের অশেষ উত্তেজনা। কিন্তু সব সিরিজ সমানভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, এই বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রতিটি ম্যাচ জিতেছে অন্তত ১৩৩ রানের ব্যবধানে, আর নিউজিল্যান্ড জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ইনিংস ও ৩৫৯ রানে।
গ্রিনবার্গের মতে, বিনিয়োগ করতে হবে সেসব স্থানে যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুটোই আছে—যেমন অ্যাশেজ। আর্থিক দিক থেকেও এগুলো বেশি লাভজনক।
এদিকে, টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ও ‘দ্য হান্ড্রেড’-এর মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের উত্থানে বৈশ্বিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার আরও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। খেলোয়াড়রা লোভনীয় চুক্তির টানে সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি ঝুঁকছেন, ফলে লাল বলের ঐতিহ্য রক্ষা করা হয়ে উঠছে আরও চ্যালেঞ্জিং।
সূত্র : BBC