
বাংলাদেশ জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল • গেটি ইমেজেস
এশিয়া কাপ মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসর। তবে এবারের টুর্নামেন্টে ‘গ্রুপ অব ডেথ’-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার লড়াই। শনিবারের এই ম্যাচে যে দল হেরে যাবে, তাদের জন্য সুপার ফোরের রাস্তা হয়ে উঠবে আরও কঠিন।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের ম্যাচ জিতেছে। তবে বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি অন্য রকম উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। টি-২০ ফরম্যাটে দুই দলই প্রায় সমশক্তির, আর গত কয়েক বছরে তাদের মুখোমুখি লড়াই হয়েছে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
মাঠ ও কন্ডিশন
আবুধাবির উইকেট সাধারণত ব্যাটারদের সহায়ক। তবে মাঝেমধ্যে স্পিনাররাও কার্যকরী হয়ে ওঠে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে, বৃষ্টির কোনো আশঙ্কা নেই।
বাংলাদেশ – ইতিবাচক ছন্দে
বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এই মাঠে খেলে ফেলেছে এবং হংকংয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। লিটন দাসের নেতৃত্বে টপ অর্ডার রান তুলেছে সহজেই, আবার বোলাররা নিয়মিত উইকেট নিয়েছে। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনও ছন্দে আছেন—শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই তিনি সম্প্রতি অসাধারণ বোলিং করেছিলেন।
পারভেজ ইমন, তানজিদ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা – হাসারাঙ্গার ফেরার সম্ভাবনা
শ্রীলঙ্কার জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর হলো অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ফিরে আসতে পারেন। অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা জানিয়েছেন, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজ মিস করলেও তিনি এখন খেলতে প্রস্তুত।
পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, চরিত আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুষ্মন্থ চামিরা, বিনুরা ফার্নান্দো, নুয়ান থুশারা।
স্পটলাইটে দুই তারকা
- লিটন দাস: বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ৫৬ রান দূরে দেশের সর্বোচ্চ টি-২০ রান সংগ্রাহক হওয়ার থেকে। এই বছর তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭৬ রান, স্ট্রাইক রেট ১৩৭-এর বেশি।
- পাথুম নিশাঙ্কা: ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৩০ রান। আর মাত্র ৫০ রান দূরে তিনি টি-২০আইতে ২,০০০ রান পূর্ণ করবেন।
মুখোমুখি পরিসংখ্যান
- শেষ ১০ বছরে দুই দলের জয়-পরাজয় সমান (৮-৮)।
- এশিয়া কাপের টি-২০তে রেকর্ডও সমান (বাংলাদেশ জিতেছে ২০১৬ সালে, শ্রীলঙ্কা জিতেছে ২০২২ সালে)।
- লিটন দাস শেষ চার ইনিংসে কখনও ৫০-এর নিচে আউট হননি।
“এটি ভক্তদের জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য এটি কেবল একটি ভালো এবং চ্যালেঞ্জিং প্রতিযোগিতা।”
— শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা