
বিসিসিআইয়ের সম্পদ বৃদ্ধি—পাঁচ বছরে নতুন রেকর্ড ছবি : এএফপি
ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই (BCCI) যেন শুধু ক্রিকেট নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও এক অনন্য শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু করে গত পাঁচ বছরে বোর্ডের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১৪,৬২৭ কোটি টাকা। মৃত্যু আর করকে যেমন জীবনের একমাত্র নিশ্চিত সত্য বলা হয়, ঠিক তেমনি বিসিসিআইয়ের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধিকেও এখন অনেকটা সেই তালিকায় রাখা যায়।
সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর বোর্ডের ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল ২০,৬৮৬ কোটি টাকা। চলতি বছর সেই অঙ্ক আরও বেড়েছে, যার বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় (AGM)।
আয়কর নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার অবসান
অনেকের ধারণা বিসিসিআই নাকি আয়কর দেয় না। কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। সংস্থাটি শুধু করই দেয়নি, বরং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য কর-সংক্রান্ত ঝুঁকির জন্যও ৩,১৫০ কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছে।
আয়ের খুঁটিনাটি
- ট্যুর ও ম্যাচ থেকে আয়: ২০২৩-২৪ সালে আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬১.২২ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল ৬৪২.৭৮ কোটি টাকা।
- মিডিয়া স্বত্ব: সম্প্রচার আয় নেমে এসেছে ৮১৩.১৪ কোটি টাকা-তে (আগের বছর ২,৫২৪.৮০ কোটি টাকা)।
- বিনিয়োগ থেকে আয়: ব্যাংক ও বিনিয়োগ থেকে আয় বেড়ে হয়েছে ৯৮৬.৪৫ কোটি টাকা (আগের বছর ৫৩৩.০৫ কোটি টাকা)।
- উদ্বৃত্ত আয়: আয় থেকে ব্যয়ের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১,৬২৩.০৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ১,১৬৭.৯৯ কোটি টাকা থেকে অনেক বেশি।
খেলাধুলা ও ক্রিকেটারদের জন্য বরাদ্দ
বিসিসিআই তার আয় থেকে বড় একটি অংশ ব্যয় করছে ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের কল্যাণে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- পরিকাঠামো উন্নয়ন: ১,২০০ কোটি টাকা
- প্লাটিনাম জুবিলি বেনিভোলেন্ট ফান্ড: ৩৫০ কোটি টাকা
- ক্রিকেট উন্নয়ন তহবিল: ৫০০ কোটি টাকা
এছাড়া রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে বিতরণ করা হয়েছে ১,৯৯০.১৮ কোটি টাকা, যা আগামী বছর আরও বাড়বে।
শেষকথা
সব মিলিয়ে বিসিসিআই শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও রেকর্ড গড়ছে। ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংগঠনগুলোর একটি, যারা ক্রিকেটের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতেও ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে।