)
দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগ্রাসী মনোভাবের প্রস্তুতি ছবি রয়টার্স
এশিয়া কাপের উত্তেজনা যেন দ্বিগুণ হয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে। দুবাইয়ে আগামী রবিবার মাঠে নামছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। তবে এই ম্যাচ শুধু ক্রিকেট নয়—ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এর গুরুত্ব বেড়ে গেছে। চলতি বছরের মে মাসে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চার দিনের সামরিক সংঘাতের পর এটিই তাদের প্রথম মুখোমুখি লড়াই।
টুর্নামেন্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আঘা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তারা খেলোয়াড়দের আক্রমণাত্মক মনোভাব কমানোর কোনো নির্দেশনা দেবেন না।
সূর্যকুমার বলেন:
"মাঠে নামলে আক্রমণাত্মক মনোভাব থাকবেই। কিছুটা আক্রমণাত্মক মনোভাব ছাড়া খেলা সম্ভব নয়। আমি মাঠে নামার জন্য ভীষণ রোমাঞ্চিত।"
সালমানও মন্তব্য করেন:
"প্রতিটি খেলোয়াড়ের আলাদা মানসিকতা থাকে। যদি কেউ মাঠে স্বাভাবিকভাবে আক্রমণাত্মক থাকে, তাকে থামানোর কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে ফাস্ট বোলাররা সবসময়ই আক্রমণাত্মক থাকে, এটাই তাদের শক্তি। তাই আমি কাউকে আলাদা করে কিছু বলব না, যতক্ষণ তা খেলার ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকে।"
ম্যাচের প্রেক্ষাপট
বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত শিরোপা ধরে রাখার পথে ফেভারিট। তবে পাকিস্তানও ফর্মে আছে। সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা শিরোপা জিতেছে।
ভারত ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার পর আর কোনো টি-টোয়েন্টি খেলেনি। তবে সূর্যকুমারের মতে, তাদের দল "অপ্রস্তুত" নয়। তিনি বলেন,
"যদি প্রস্তুতি ভালো থাকে, তাহলে আত্মবিশ্বাসও থাকে। আমরা কিছুদিন ধরে একসঙ্গে অনুশীলন করেছি এবং এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।"
সমাপনী ভাবনা
সব মিলিয়ে, মাঠের ভেতরে প্রতিটি বলেই খেলোয়াড়দের আক্রমণাত্মক মনোভাব ফুটে উঠবে। তবে সেটা সীমার মধ্যে থাকলেই রঙিন হয়ে উঠবে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ।