অবশেষে এল সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত! নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে আইসিসি সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে ২০২৫ সালের নারী ওডিআই বিশ্বকাপের প্রাইজমানি পুরুষদের বিশ্বকাপকেও ছাড়িয়ে গেছে! এই খবরটা শুনে সত্যি বলতে মনটা খুশিতে ভরে গেছে। এই সিদ্ধান্ত শুধু একটি আর্থিক পরিবর্তন নয়, বরং নারী ক্রিকেটের প্রতি আইসিসির দৃষ্টিভঙ্গির এক সুস্পষ্ট প্রতিফলন।

প্রাইজমানির তুলনামূলক চিত্র

  • মোট প্রাইজমানি: ২০২২ সালের ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় এবার ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার! এটি একটি অভাবনীয় ৪ গুণ বৃদ্ধি।
  • বিশ্বকাপ জয়ী দল: বিজয়ীরা পাবে ৪.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫২ কোটি টাকা
  • রানার্স-আপ দল: রানার্স-আপ দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ২৬ কোটি টাকা
  • সেমিফাইনালিস্ট দল: সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুটি দল প্রত্যেকে পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৩ কোটি টাকা করে।
  • গ্রুপ পর্বের প্রতি জয়ের জন্য: প্রতিটি জয়ের জন্য দলগুলো পাবে ৩৪,৩১৪ ডলার, যা প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা
  • অংশগ্রহণকারী সব দলের জন্য: টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলই ২৫০,০০ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা করে নিশ্চিত পাবে।

কেন এই পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ?

  • পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি: নারী ক্রিকেটকে আর কেবল 'শখের খেলা' হিসেবে দেখা হচ্ছে না, বরং এটিকে পেশাদার একটি খেলা হিসেবে সম্পূর্ণ সম্মান এবং আর্থিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
  • পুরুষদের সাথে সমতা: আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন, "যদি নারীরা পেশাদারভাবে ক্রিকেট খেলতে চায়, তবে তাদের পুরুষদের সমান মর্যাদা দেওয়া হবে।" এই ঘোষণা সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তবায়ন।
  • ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা: এই পদক্ষেপের পর আরও অনেক তরুণী ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে উৎসাহিত হবে। এটি নারী ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারাটা আমাদের জন্য গর্বের। চলুন, নারী বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করি এবং আমাদের প্রিয় দলগুলোকে সমর্থন জানাই। এই নতুন যুগে নারী ক্রিকেট আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে, সেই আশা নিয়েই আমরা সবাই অপেক্ষায় থাকব।