ব্রিজটাউনে প্রথম টেস্টের বিশৃঙ্খল প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১৮০ রানেই গুটিয়ে যায়, কিন্তু বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। দিনের প্রথম দিনেই ১৪টি উইকেট পড়েছে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৫৭ ওভারেরও কম সময়ে অলআউট হয়ে যায়। ক্যারিবীয় দুই পেসার জয়ডেন সিলস এবং শামার জোসেফ মিলে নিয়েছেন ৯টি উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ট্রাভিস হেড সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন এবং ওপেনার উসমান খাওয়াজা করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (২৮) এবং বিউ ওয়েবস্টার (১১) ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
তবে দিনের শেষ দিকে অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড এবং কামিন্সের পেস ত্রয়ী মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৭ রানে ৪ উইকেট ফেলে দিয়ে ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া।
১০ বছর পর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রথম টেস্ট খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়া তাদের টপ-অর্ডারে নতুন কিছু পরিবর্তন আনে। ইনজুরির কারণে স্টিভ স্মিথ ছিলেন না এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তাদের ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের হারের পর বাদ পড়েন মারনাস লাবুশেন।
তাদের পরিবর্তে দলে আসা তরুণ ওপেনার স্যাম কনস্টাস এবং জশ ইংলিস যথাক্রমে মাত্র ৩ এবং ৫ রান করে আউট হলে অস্ট্রেলিয়া ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে।
এরপর ট্রাভিস হেড এবং উসমান খাওয়াজা চতুর্থ উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন। খাওয়াজা দুইবার জীবন পেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোসেফের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।
১৮ মাস আগে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত জয়ের নায়ক শামার জোসেফ এরপর বিউ ওয়েবস্টারকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন। দিনের শেষে তার বোলিং ফিগার ছিল ৪-৪৬।
জাস্টিন গ্রিভসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ট্রাভিস হেডের প্রতিরোধের অবসান হয়। এরপর সিলস ৫-৬০ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেজের দিকের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত সাজঘরে ফেরান।
২২ বছর পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়েরL লক্ষ্যে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। মিচেল স্টার্ক পরপর দুই ওভারে ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং জন ক্যাম্পবেলকে আউট করেন।
এরপর কামিন্স কিসি কার্টিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। দিনের খেলা শেষের কিছুক্ষণ আগে হ্যাজলউড নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিকানকে বোল্ড করে দেন।