
মূল পয়েন্ট
- ভারত সরকারের অনুমতিতে বহু-দেশীয় টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারবে ভারত।
- দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, তবে এশিয়া কাপসহ আন্তর্জাতিক ইভেন্টে দুই দল মুখোমুখি হতে পারবে।
- গ্রুপপর্বে অন্তত একবার; পরিস্থিতি অনুকূলে আরও দুইবার দেখা হতে পারে।
- ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের কথাও জানিয়েছে ভারতীয় মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট ভক্তদের জন্য সুখবর। বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারত সরকার এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার অনুমতি দিয়েছে। ফলে আগামী সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে হতে যাওয়া ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি এখন নিশ্চিত।
ভারতের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হবে না, তবে বহু-দেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। এর মানে, এশিয়া কাপ কিংবা অক্টোবরের মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপের মতো আসরে দুই দেশ মুখোমুখি হতে পারবে।
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও ক্রিকেট
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক উত্তেজনায় আচ্ছন্ন। সীমান্তে সংঘর্ষ কিংবা নানা সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কও বহুবার থমকে গেছে। ২০১২ সালের পর থেকে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে একে অপরের মুখোমুখি হয়নি তারা; তবে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কিংবা এশিয়া কাপে নিয়মিত লড়াই হয়েছে।
এইবারও একই চিত্র। মূলত ভারতেই আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও জুলাই মাসে এশিয়া কাপ সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানেই গ্রুপপর্বে অন্তত একবার মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান—১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সম্ভাব্যভাবে আরও দু’বার দেখা হতে পারে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর।
“দ্বিপাক্ষিক কোনো প্রতিযোগিতা হবে না… তবে আন্তর্জাতিক বা বহু-দেশীয় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা যাবে—সেটা দেশে হোক বা বিদেশে।”
সরকারের বার্তা
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনে ভারতকে একটি “পছন্দের গন্তব্য” হিসেবে তুলে ধরতে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার কথাও জানিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
ক্রিকেটপ্রেমীদের অপেক্ষা
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তেজনা—মাঠের ক্রিকেট ছাড়িয়ে ভক্তদের আবেগ, গর্ব আর ঐতিহ্যের লড়াই। সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার পর এটাই হবে দুই দলের প্রথম মোকাবিলা। সব মিলিয়ে, ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পর দৃষ্টি এখন দুবাইয়ের মাঠে—যেখানে আবারও লেখা হবে নতুন এক অধ্যায়।