বিসিসিআই–ড্রিম১১ সম্পর্কের ইতি: অনলাইন গেমিং আইনেই ভাঙল ৩৪৮ কোটি টাকার জার্সি চুক্তি

ক্রিকেট · আপডেট
Ten Star Sports
স্পোর্টস ডেস্ক

গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো এক নজরে

  • নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় বিসিসিআই–ড্রিম১১ জার্সি চুক্তি বাতিল
  • ৩ বছর মেয়াদি চুক্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৫৮ কোটি রুপি
  • অনলাইন মানি গেমের বিজ্ঞাপন, লেনদেন ও প্ল্যাটফর্ম—সবই নিষিদ্ধের আওতায়
  • এশিয়া কাপ শুরুর আগে নতুন স্পনসর না মিললে জার্সি স্পনসরশূন্য হওয়ার আশঙ্কা

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রিম১১-এর সঙ্গে তাদের জার্সি স্পনসরশিপ চুক্তি বাতিল করেছে। ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত তিন বছরের এই চুক্তির আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় ৩৫৮ কোটি রুপি

সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া “প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫” কার্যকর হওয়ার পর থেকেই এই চুক্তি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। নতুন আইনের বিধান অনুযায়ী অনলাইন মানি গেম পরিচালনা, বিজ্ঞাপন ও আর্থিক লেনদেন—সবই নিষিদ্ধ। ফলে, চুক্তিটি বহাল থাকলে তা বেআইনি হয়ে যেত।

“নতুন অনলাইন গেমিং আইন কার্যকর হওয়ার পর বিসিসিআই ও ড্রিম১১ পারস্পরিক সম্মতিতে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ভবিষ্যতে আমরা এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হব না।” — দেবজিৎ সাইকিয়া, সেক্রেটারি, বিসিসিআই

ড্রিম১১-এর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্তটি দুই পক্ষের জন্যই ছিল ‘অবশ্যম্ভাবী’।

নতুন অনলাইন গেমিং আইনের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:

পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা: দক্ষতা বা ভাগ্য—যে ভিত্তিতেই হোক, অনলাইন মানি গেম পরিচালনা বা সহজতর করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ: যেকোনো মাধ্যমে অনলাইন মানি গেমের বিজ্ঞাপন ও প্রচার করা যাবে না।
লেনদেন বন্ধ: ব্যাংক ও পেমেন্ট সিস্টেমগুলো এই খাতের পেমেন্ট প্রক্রিয়া করবে না।
অ্যাক্সেস ব্লকিং ক্ষমতা: আইটি অ্যাক্ট, ২০০০ অনুযায়ী বেআইনি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার ব্লক করার ক্ষমতা।

সামনে কী? এশিয়া কাপ ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু। এর আগে নতুন স্পনসর না মিললে ভারতীয় দল বড় টুর্নামেন্টে স্পনসরশূন্য জার্সি পরে নামতে পারে। বিসিসিআই দ্রুত বিকল্প খুঁজছে।

© Ten Star Sports — পুনঃপ্রকাশে সূত্র উল্লেখ আবশ্যক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন