বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চেলসিকে মাটিতে নামাল প্যালেস

ক্লাব বিশ্বকাপের মুকুট মাথায় ফিরেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ‘Champions of the World’ ব্যানার—তবু প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ধাক্কায় চেলসিকে থামিয়ে দিল ক্রিস্টাল প্যালেস। ৯০ মিনিটের লড়াই শেষে স্কোরবোর্ড বলল—কোনো গোল নেই, কিন্তু শিক্ষা বড়।
টুর্নামেন্ট বনাম প্রিমিয়ার লিগ: বাস্তবতার ধাক্কা
১৩ জুলাই ফাইনালে পিএসজি’কে ৩–০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছিল চেলসি; প্রাক-মৌসুমে লেভারকুসেন ও মিলানও নত হয়েছিল। কিন্তু লিগে ফিরে বুঝল দল—গ্রীষ্মের জৌলুস আর ইংল্যান্ডের কাঁটাযুক্ত বাস্তবতা এক নয়।
১৩ মিনিটে এবেরেচি ইজে’র ফ্রি–কিকে বল জালে গেলেও সহখেলোয়াড়ের অবস্থানের কারণে অফসাইড—চেলসি বাঁচে ন্যূনতম ব্যবধানে।
অভিষেকে স্তিমিত, কিন্তু রক্ষণে উজ্জ্বলতা
জোয়াও পেড্রো ও জেমি গিটেন্স অভিষেকে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি। বরং ১৯ বছরের স্ট্যান্ড–ইন সেন্টার–ব্যাক জশ আচেয়াম্পং শীতল মাথায় রক্ষণ সামলে নজর কাড়েন।
এস্তেভাওয়ের ঝলক—কিন্তু মিসড চ্যান্স
বিরতির পর নেমে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার এস্তেভাও গতি ও ধার এনে দেন। শেষদিকে কুকুরেলার নিখুঁত ক্রসে সোনালী সুযোগ পেয়ে বারের ওপর দিয়ে মেরে দেন—স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চাপা দীর্ঘশ্বাস।
প্রস্তুতি বিতর্কে মারেস্কার অবস্থান
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ প্রতিযোগিতার কারণে প্রস্তুতি কম ছিল—এমন ধারণা উড়িয়ে দেন কোচ মারেস্কা। তার মতে, দল প্রতিযোগিতামূলক ছিল এবং জয়ের চেষ্টা করেছে।
ইজে–কে ঘিরে স্থানান্তর গুঞ্জন
প্যালেস বস অলিভার গ্লাসনার ইজে’র ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে কূটনৈতিক: “এটি ক্লাবের সিদ্ধান্ত, দেখা যাক কী হয়।” টটেনহ্যামসহ একাধিক ক্লাবের আগ্রহ চলমান।
শেষ বাঁশিতে “We Have Won It All” স্লোগান ফিকে; লিগের নিত্যদিনের লড়াই—চেলসির জন্য নতুন করে পরীক্ষার মঞ্চ।