
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) জাতীয় দলের জার্সি স্পনসরশিপের নতুন ভিত্তি মূল্য ঘোষণা করেছে। বিদায়ী স্পনসর ড্রিম১১-এর প্রস্থানের পর বোর্ড এবার কিছুটা বাড়তি দর নির্ধারণ করেছে, যাতে ব্র্যান্ড ভ্যালু ও দৃশ্যমানতার বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত হয়।
নতুন ভিত্তি মূল্য: কত থেকে কত
- দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ: প্রায় ৳ ৩.৫ কোটি (আগে ছিল প্রায় ৳ ৩.১৭ কোটি)
- বহু-পার্শ্বিক/আইসিসি-এএসিসি ইভেন্ট: প্রায় ৳ ১.৫ কোটি (আগে ছিল প্রায় ৳ ১.১২ কোটি)
অর্থাৎ দ্বিপাক্ষিক ম্যাচে ১০%–এর বেশি ও বহু-পার্শ্বিক ইভেন্টে ৩% ভিত্তি মূল্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করছে বিসিসিআই।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কেন বেশি ভ্যালু?
দ্বিপাক্ষিক ম্যাচে স্পনসরের ব্র্যান্ডনেম খেলোয়াড়দের বুকে স্পষ্টভাবে থাকে—টিভি ব্রডকাস্ট ও ছবিতে সবচেয়ে দৃশ্যমান জায়গা। বিপরীতে আইসিসি/এএসিসি ইভেন্টে ব্র্যান্ডের জায়গা কেবল হাতায়, ফলে এক্সপোজার তুলনামূলক কম। তাই দুই সম্পত্তির দাম আলাদা হওয়াটা স্বাভাবিক।
৩ বছরের উইন্ডো: কোন কোন বড় টুর্নামেন্ট?
পরবর্তী তিন বছরে প্রায় ১৩০টি ম্যাচ নির্ধারিত—এর মধ্যে আছে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপ। এই শিডিউল স্পনসরদের জন্য ধারাবাহিক এক্সপোজারের নিশ্চয়তা দেয়।
বিডিং কবে? এশিয়া কাপে নাম দেখা যাবে?
বিডিং নির্ধারিত ১৬ সেপ্টেম্বর। তাই ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে নতুন স্পনসরের নাম দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
কারা অংশ নিতে পারবে না
বিসিসিআই-এর শর্ত অনুযায়ী নিষিদ্ধ ক্যাটাগরি:
- গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টো, তামাক
- কনফ্লিক্ট-প্রোন ক্যাটাগরি: স্পোর্টসওয়্যার/গিয়ার, ব্যাংকিং/ফাইন্যান্স, বীমা, কিছু FMCG (যেখানে বিদ্যমান স্পনসরদের সাথে সংঘাত হতে পারে)
ড্রিম১১ কেন সরে গেল?
ভারতের নতুন অনলাইন গেমিং আইন, ২০২৫ কার্যকর হওয়ার পর দেশে রিয়েল-মানি গেমিং কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় ড্রিম১১ স্পনসরশিপ চালিয়ে যেতে পারেনি—ফলে নতুন স্পনসর খোঁজে নামতে হয় বিসিসিআইকে।
বটম লাইন: ব্র্যান্ড ভ্যালু ও দৃশ্যমানতার বাস্তবতা মাথায় রেখে ভিত্তি মূল্য বাড়িয়েছে বিসিসিআই—এতে দীর্ঘমেয়াদে রাজস্ব ও ব্র্যান্ড ম্যাচ ফিট দুই-ই নিশ্চিত হবে।
নোট: উপরোক্ত অঙ্কগুলো বাজারে আলোচিত/সংরক্ষিত ভিত্তি মূল্য; চূড়ান্ত বিডিংয়ে দর আরও বেশি হতে পারে।