পাকিস্তানের শেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হারিস রউফ © Getty |
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেছে পাকিস্তান দল। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়।
কেন এই সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান?
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে, আইসিসির সঙ্গে তাদের চলমান দ্বন্দ্বই এই ঘটনার পেছনে মূল কারণ হতে পারে।
ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) মধ্যে অমীমাংসিত কিছু ইস্যু এখনো ঝুলে আছে। এর আগেও তারা এমন অবস্থার মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল। ওই ম্যাচ শেষে হারিস রউফ সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন।
হ্যান্ডশেক বিতর্কের রেশ
ভারত-পাকিস্তান খেলোয়াড়দের মধ্যে হ্যান্ডশেক নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই ঘটনাতেই সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পাকিস্তান অভিযোগ তুললেও আইসিসি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে নির্দোষ প্রমাণ করে। এরপরও পাকিস্তান অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলায় যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে।
এমনকি সেই ম্যাচটিও অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাইক্রফ্টের আলোচনার পর প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়। যদিও পরে দুই পক্ষই আলাদা ব্যাখ্যা দেয় ওই কথোপকথনের ব্যাপারে।
ভারত ম্যাচ ঘিরে নতুন উত্তাপ
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) এখনও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য ম্যাচ কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পাইক্রফ্টই আবারও ম্যাচ রেফারি হতে পারেন। সেটিই পাকিস্তানের সংবাদ সম্মেলনে না আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
প্রস্তুতি চলছে আগের মতোই
সংবাদ সম্মেলন বাতিল হলেও পাকিস্তান দলের প্রস্তুতিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তারা সন্ধ্যা ৬টা থেকে আইসিসি একাডেমিতে নির্ধারিত অনুশীলন চালিয়ে যাবে।
অন্যদিকে, ভারতের মূলত অনুশীলনের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারাও একই সময়ে, একই ভেন্যুতে ঐচ্ছিক অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবুধাবিতে শুক্রবার ওমানকে হারানোর পর একদিন বিশ্রাম নেওয়ার কথা থাকলেও, সুপার ফোর ম্যাচের আগে হালকা অনুশীলনেই নামছে রোহিত শর্মারা।
👉 এই ঘটনাগুলো শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে না, বরং মাঠের বাইরেও দুই দেশের দ্বন্দ্বের রেশ যেন ছড়াচ্ছে প্রতিদিন।