
বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। দেশের অন্যতম সেরা নারী ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুনকে নারী জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এভাবেই প্রথমবারের মতো কোনো নারী ক্রিকেটার নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন।
একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, বোর্ডের সর্বশেষ সভায় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল এই নিয়োগ। সালমা খাতুন এখন থেকে নারী দলের বর্তমান প্রধান নির্বাচক শিপনের সঙ্গে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, "সালমা দীর্ঘদিন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৪-১৫ সালে আইসিসি'র সেরা বোলার ও অলরাউন্ডার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অধিনায়ক ছিলেন। তার অভিজ্ঞতা নারী ক্রিকেটকে আরও শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখবে।"
সালমা খাতুনের যাত্রা
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ সালমা খাতুন। অলরাউন্ডার হিসেবে তার পারফরম্যান্স সবসময়ই নজর কেড়েছে। মাঠে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি মাঠের বাইরে নতুন ভূমিকায়ও তিনি নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
"এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। সালমার অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।"
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্য কী অর্থ বহন করে?
নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে এটি নিঃসন্দেহে এক বিশাল অগ্রগতি। এখন থেকে শুধু খেলোয়াড় বা কোচ নয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াতেও নারীদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হলো। এটি ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মের নারী ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
শেষকথা
বিসিবির এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সালমা খাতুনের নির্বাচক হওয়া কেবল একটি পদ নয়, এটি একটি বার্তা—বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট এখন আরও এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।
📌 সূত্র : Cricbuzz