মোহাম্মদ সিরাজ প্রাকটিস করার সময় ছবি : BCCI এক্স প্রোফাইল থেকে নেওয়া
এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি ট্রফি জয় নিয়ে যে বিতর্ক আর নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছিল, তা অবশেষে অতীত। ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন তাদের পুরোনো এবং সবচেয়ে কঠিন ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটে মন দিতে প্রস্তুত। ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ।
রবিবার এশিয়া কাপের শিরোপা নিয়ে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, ভারত সেটিকে দ্রুত ভুলে যেতে চাইছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকার করায় সেটি নাকি শেষ মুহূর্তে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া এখন সব মনোযোগ দিয়েছে প্রথম টেস্টের দিকে, যেখানে তারা আরেকটি দুর্বল প্রতিপক্ষকে আরও একবার ধাক্কা দিতে চাইবে।
তরুণ অধিনায়ক শুভমান গিল মনে করেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে ফরম্যাট পরিবর্তন করাটা শারীরিক নয়, বরং মানসিক চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, "এটা দ্রুত ফরম্যাট পরিবর্তন করা কৌশলের চেয়েও মানসিক বেশি। ব্যাটসম্যানের জন্য ক্লান্তিটা মানসিকই বেশি। আমি এখন সতেজ এবং প্রস্তুত।"
ইনজুরি-কবলিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘ভাগ্য বদলের’ আশা
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল একের পর এক ধাক্কার পর ভারতে এসেছে। তারা ইতিমধ্যেই তাদের দুই মূল ফাস্ট বোলার শামার জোসেফ এবং আলজারি জোসেফকে ইনজুরির কারণে পাচ্ছে না। শামার তাদের শেষ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাই ২২ উইকেট নিয়েছিলেন, কিন্তু তবুও দল ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। এরপর নেপালের মতো সহযোগী দলের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অপ্রত্যাশিত হার তাদের আত্মবিশ্বাস আরও কমিয়ে দিয়েছে।
এই কঠিন সময়ে দলটির কোচ ড্যারেন স্যামি পুরনো তারকার সন্তান তেজনারায়ণ চন্দরপলের দিকে তাকিয়ে আছেন। জানুয়ারির পর এই প্রথম তিনি টেস্ট দলে ফিরলেন। স্যামি বলেন, “টপ অর্ডারের দুর্বলতা কাটাতে তেজনারায়ণ চন্দরপলের প্রত্যাবর্তন জরুরি।” স্পিন মোকাবিলায় তার শক্তিকে কাজে লাগাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অ্যালিক অ্যাথানাজেকেও।
স্যামি আত্মবিশ্বাসী সুরে বলেছেন, "উপমহাদেশে খেলা সবসময় কঠিন, তবে আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম একটি দল নির্বাচন করেছি।" নতুন স্পিনার হিসেবে নেওয়া হয়েছে খারি পিয়েরকে।
শুভমান গিল প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিতে নারাজ। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, "মানুষ আমাদের কাছ থেকে ভালো, কঠোর, পরিশ্রমী ক্রিকেট আশা করতে পারে। আমরা কোনো সহজ পথে সাফল্য খুঁজব না।"
সাদা পোশাকে ভারত তাদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ মরিয়া তাদের হারানো গৌরব ফিরে পেতে—এই সিরিজে তাই ক্রিকেটপ্রেমীরা উপভোগ করবেন এক কঠোর মানসিক এবং কৌশলগত লড়াই।
এই সিরিজ নিয়ে আপনার আর কী জানার আছে?