
নিউক্যাসলের অ্যান্থনি গর্ডন লিভারপুলের মিলোস কেরকেজের মুখোমুখি। রয়টার্স
ফুটবল মাঠে কিছু কিছু ম্যাচ হয়, যা শুধু খেলার ফলাফল দিয়ে বিচার করা যায় না। নিউক্যাসল ইউনাইটেড এবং লিভারপুলের মধ্যে হয়ে যাওয়া ম্যাচটি তেমনই এক নাটকীয় রাত উপহার দিল। এই ম্যাচটি ছিল আবেগ, উত্তেজনা আর বিতর্কের এক অদ্ভুত মিশেল।
সেন্ট জেমস' পার্কে যেন প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল। নিউক্যাসলের ভক্তরা তাদের প্রিয় স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাককে নিয়ে চলা বিতর্কের কারণে লিভারপুলের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল। ইসাক এই ম্যাচে না থাকলেও, তাকে ঘিরেই যেন পুরো মাঠের উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। লিভারপুল ইসাককে কিনতে চায়, কিন্তু দাম নিয়ে দুই ক্লাবের মধ্যে চলছে এক টানাপোড়েন। এরই মধ্যে লিভারপুল তাদের আরেক পছন্দের স্ট্রাইকার হুগো একিটিককে কিনে ফেলায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।
খেলার শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, এটি শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, এটি যেন দুই ক্লাবের সম্মানের লড়াই। লিভারপুল ২-০ গোলে এগিয়ে গেলেও, নিউক্যাসল হাল ছাড়েনি। একজন কম খেলোয়াড় নিয়েও তারা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় এবং খেলা ২-২ করে ফেলে। মনে হচ্ছিল ম্যাচটি ড্র হতে চলেছে।
কিন্তু ফুটবল তার নাটকীয়তা শেষ মুহূর্তের জন্য জমিয়ে রেখেছিল। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে, ১০ বছরের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় রিও এনগুমোহা লিভারপুলের হয়ে গোল করে তাদের জয় নিশ্চিত করেন। এই গোলের পর সেন্ট জেমস' পার্কের নীরবতা বলে দিচ্ছিল, কতটা কষ্ট নিয়ে নিউক্যাসলের সমর্থকরা মাঠ ছেড়েছে।
এই ম্যাচটি প্রমাণ করে দিল, নিউক্যাসল এবং লিভারপুলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন আরও তিক্ত এবং গভীর হয়েছে। মাঠের বাইরের ইসাক ইস্যু আর মাঠের ভেতরের এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ - সব মিলিয়ে এই লড়াইয়ের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। এই দ্বৈরথ যে এখনই থামছে না, তা নিশ্চিত।
আপনি কি মনে করেন, ইসাককে ঘিরে এই বিতর্ক এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে?